সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ,
আসসালামু আলাইকুম। রাজধানী ঢাকার মিরপুর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকা। সংখ্যার বিচারে মিরপুরে একাধিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলে ও মানসম্মত প্রতিষ্ঠান এখনো অপ্রতুল। তাই মানসম্মত শিক্ষা লাভের জন্য শিক্ষার্থীদের ছুটতে হয় শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। ফলে সময় ও আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ। এমন দৃশ্য দেশের প্রায় সর্বত্র। আমরা আপনাদের আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, এই সকল সমস্যার কথা বিবেচনা করেই দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠিত বুয়েট, মেডিকেল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত বৃহত্তর মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সাইন্স কোচিং’-এর সম্মানিত উদ্যোক্তাগণ প্রতিষ্ঠা করেছেন এক ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘মিরপুর সাইন্স কলেজ’।
প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার জীবনের একটা লক্ষ্য নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হয়। কারো লক্ষ্য ডাক্তার হবার, কারো লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ার হবার অথবা সর্বোচ্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাল কোন বিষয়ে লেখাপড়া করার। তেমনি প্রত্যেক বাবা-মা ও অনেক আশা নিয়ে, অনেক স্বপ্ন নিয়ে তাদের সন্তানকে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করান। প্রত্যেক বাবা-মা-ই চায় তাদের সন্তান যেন নৈতিক শিক্ষা লাভ করে আদর্শ মানুষ হয়ে দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুয়েট, মেডিকেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়বে এবং মা-বাবার সম্মান, মর্যাদা বৃদ্ধি করবে। এজন্য তারা তাদের সামর্থ্যরে মধ্যে যতটুকু আছে তার সর্বোচ্চটুকু ছেলেমেয়েকে দেবার চেষ্টা করেন। তারা নিজে কষ্ট করে কিন্তু তাদের ছেলেমেয়েকে কখনও কষ্ট করতে দেয় না। তেমনি প্রত্যেক ছেলেমেয়েদেরও ইচ্ছা থাকে, আগ্রহ থাকে, তারা চেষ্টাও করে কিন্তু সঠিক দিক নির্দেশনা না পাওয়ার কারণে তারা তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না।
আপনারা জানেন, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় এ+ এবং এ+(গোল্ডেন) পাওয়া সত্ত্বেও হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী বুয়েট, মেডিকেল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ স্বনামধন্য শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পায় না। কারণ অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর অধিকাংশ শিক্ষক শুধু বোর্ড পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য বোর্ড প্রশ্নগুলোর উপরই বেশি গুরুত্ব দেয়। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের না বুঝে মুখস্থ করতে হয়। তাই এইচএসসি পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষার জন্য তাদের প্রস্তুতি থাকে শূন্য। এসএসসি এবং এইচএসসি-তে ভালো ফলাফল থাকা সত্ত্বেও ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ হয়ে পড়ে অনিশ্চিত। তাই বর্তমান এই প্রতিযোগিতার যুগে শুধু বোর্ড পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করাই ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য নয় বরং বোর্ড পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের পাশাপাশি মজবুত মৌলিক জ্ঞান অর্জন (Strong Basic Knowledge) তৈরি করে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোতে ভর্তি হওয়া সবারই মূল লক্ষ্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বোর্ড পরীক্ষার পর স্বল্প সময়ের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ/শেষ করা অসম্ভব। তাই যারা এইচএসসি পরীক্ষার পূর্বেই ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ/শেষ করে থাকে কেবল তারাই পারে বুয়েট, মেডিকেল ও ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় সহ স্বনামধন্য শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে। আর এই স্বপ্ন পূরনে ‘মিরপুর সাইন্স কলেজ’ এ আত্ম-নিয়োজিত রয়েছেন একঝাঁক দক্ষ, মেধাবী ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী। যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় সহ স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী। যাদের নিবিড় পরিচালনায় একজন সাধারণ শিক্ষার্থী ইনশাআল্লাহ তার লক্ষ্য পূরণে চূড়ান্তভাবে সফল হবে।
আগামীর পৃথিবীতে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিগত ১৫ (পনের) বছর যাবৎ শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের বাস্তব অভিজ্ঞতায় পরিচালিত বৃহত্তর মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী ‘সাইন্স কোচিং’ এর দক্ষতা ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে একুশ শতকের উপযুক্ত বিশ্ব নাগরিক গড়ে তোলার স্বপ্নকে লালন করে পরিচালিত হয়েছে ‘মিরপুর সাইন্স কলেজ’। সুষ্ঠ, সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে পাঠদানের মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেশ, জাতি ও বিশ্বের কল্যানে নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা এবং ভর্তি পরীক্ষায় দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে ভর্তি করার লক্ষ্যে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে কেমলমাত্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য “মিরপুর সাইন্স কলেজের” যাত্রা শুরু।
আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি আল্লাহতায়ালা যদি আপনাদের সন্তানকে “মিরপুর সাইন্স কলেজে” পড়ালেখার জন্য কবুল করেন। ইনশাআল্লাহ প্রত্যেকেই নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে আদর্শ মানুষ হয়ে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে ভর্তি হয়ে আপনাদের স্বপ্ন পূরণ করবে এবং আপনার সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করবে। আমাদের উক্ত লক্ষ্য বাস্তবায়নে আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
ধন্যবাদান্তে
মো: আনোয়ার হোসেন রিপন
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ
মিরপুর সাইন্স কলেজ