সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ
আসসালামু আলাইকুম। মিরপুর সাইন্স কলেজ-এর পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। আপনাদের অকুন্ঠ আস্থা ও বিশ্বাস আমাদেরকে কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। আপনার স্নেহের সন্তানকে মিরপুর সাইন্স কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে পেয়ে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। অনেক আশা, স্বপ্ন নিয়ে আপনার সন্তানকে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করেছেন। একাডেমিক শিক্ষায় ঈর্ষনীয় সাফল্যের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরকে নৈতিকভাবে সুস্থ-সুন্দর মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা সংকল্পবদ্ধ। এইচএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনের মাধ্যমে আপনার সন্তান দেশের কাঙ্খিত মেডিক্যাল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের অধিকারী হবে। আপনাদের এমন প্রত্যাশার সফল বাস্তবায়ন ঘটাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আমরা লক্ষ্য করেছি, সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য অভিভাবকরা তাদের সাধ্য ও সামর্থ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করে থাকেন। তেমনি প্রত্যেক সন্তানেরও ইচ্ছা থাকে, থাকে আগ্রহ এবং তারা চেষ্টাও করে। কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনা না পাওয়ার কারণে তারা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। দুঃখজনক হলেও সত্য, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় এ+ এবং এ+(গোল্ডেন) পাওয়া সত্ত্বেও অনেক ছাত্র-ছাত্রী স্বনামধন্য ও কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায় না। কারণ বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেবল বোর্ড পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে পাঠদান করা হয়। এজন্য ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও বেড়েছে না বুঝে মুখস্থ করার প্রবণতা। এইচএসসি পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষার জন্য তাদের প্রস্তুতিও থাকে শূন্যের কোঠায়। এসএসসি এবং এইচএসসি-তে ভালো ফল অর্জন সত্ত্বেও ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ হয়ে পড়ে অনিশ্চিত। তাই বর্তমান প্রতিযোগিতার এই যুগে শুধু বোর্ড পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ নয়। বরং বোর্ড পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক মৌলিক জ্ঞানের ভিত্তিও শক্তিশালী করা আবশ্যক। মিরপুর সাইন্স কলেজ সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে চলার ব্যাপারে আপোষহীন। এদিকে বোর্ড পরীক্ষার পর স্বল্প সময়ের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি শেষ করাটা অসম্ভব বললে ভুল হবে না। তাই যারা এইচএসসি পরীক্ষার পূর্বেই ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাসের বেশিরভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন করে থাকে, কেবল তারাই স্বপ্নের বুয়েট, মেডিকেল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বনামধন্য শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে ভর্তি হতে পারে। আর এই স্বপ্ন পূরণে মিরপুর সাইন্স কলেজ-এ নিয়োজিত রয়েছেন একঝাঁক দক্ষ, মেধাবী ও অভিজ্ঞ শিক্ষক। যাদের নিবিড় পরিচর্যা ও দক্ষ পরিচালনায় একজন সাধারণ শিক্ষার্থী... ইনশাআল্লাহ তার চূড়ান্ত লক্ষ্য পূরণে সফল হবে। বৃহত্তর মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাইন্স কোচিং-এর দক্ষতা, মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একুশ শতকের উপযোগী বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্নকে লালন করে সাইন্স কোচিং-এর সম্মানিত উদ্যোক্তাগণ প্রতিষ্ঠা করেছেন মিরপুর সাইন্স কলেজ। সুষ্ঠু, সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে পাঠদানের মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেশ, জাতি ও বিশ্বের কল্যাণে নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে আদর্শ মানুষ হিসেবে এবং দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে ভর্তির উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুধু বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য মিরপুর সাইন্স কলেজের যাত্রা শুরু। শিক্ষার্থীদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তাদের ইচ্ছা-আগ্রহ-প্রচেষ্টার পাশাপাশি পিতা-মাতা, কলেজ প্রশাসন ও শিক্ষকমন্ডলীর আন্তরিকতার বিকল্প নেই। এটি একটি যৌথ উদ্যোগ ও সহযোগিতামূলক কর্মসূচী। তাই শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কলেজ প্রশাসন ও অভিভাবকদের মধ্যে যথাযথ সমন্বয় না ঘটলে কাঙ্খিত সাফল্য অধরাই থেকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ইনশাআল্লাহ্ শিক্ষার্থীদেরকে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছিয়ে দিতে আমরা দায়িত্ব পালনে সর্বদা সচেষ্ট থাকব। আমরা বিভিন্ন কলেজের সিলেবাসের কারিকুলাম পর্যালোচনা ও ভর্তি পরীক্ষায় বুয়েট, মেডিকেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বোর্ড পরীক্ষায় ও ভর্তি পরীক্ষায় সফলতার জন্য কুইজ পরীক্ষা ও ব্যবহারিক ক্লাসের ওপর তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। একাডেমিক ও অ্যাডমিশনের সমন্বয়ের মাধ্যমে মিরপুর সাইন্স কলেজ-এর শিক্ষকমন্ডলী কলেজের সিলেবাস কলেজেই শেষ করে দিবেন। এজন্য শিক্ষার্থীদেরকে আলাদা কোচিং বা প্রাইভেট পড়তে হবে না। যদি কোনো শিক্ষার্থীর সমস্যা থাকে আমরা অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে সেটা সমাধান করে দিব। অভিভাবকদের প্রতি আমাদের অনুরোধ, শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। আপনাদের প্রতি সাইন্স কলেজের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও সহযোগিতা থাকবে।
আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, যদি আল্লাহ তায়ালা আপনার সন্তানকে মিরপুর সাইন্স কলেজে পড়ালেখার জন্য কবুল করেন এবং শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার তাওফিক দান করেন, ইনশাআল্লাহ প্রত্যেকেই একাডেমিক ও নৈতিক শিক্ষায় সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে। দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে ভর্তি হয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের স্বপ্ন পূরণ করবে। বাড়াবে অভিভাবকদের সম্মান ও মর্যাদা। সেই কাঙ্খিত লক্ষ্য বাস্তবায়নে আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা আমাদের একান্ত কাম্য।
ধন্যবাদান্তে
মো: আনোয়ার হোসেন রিপন
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ
মিরপুর সাইন্স কলেজ